সর্বশেষ

সোমবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৫

আজ শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা

আজ শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা



আজ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শুভ ‘প্রবারণা পূর্ণিমা’। এটি ‘আশ্বিনী পূর্ণিমা’ নামেও পরিচিত। আত্মশুদ্ধি অর্জনের মধ্য দিয়ে অশুভকে বর্জন করে সত্য ও সুন্দরকে বরণের আয়োজন এই প্রবারণা।

‘প্রবারণা’ শব্দের অর্থ:‘প্র’ মানে ‘উত্তমভাবে’ এবং ‘বরণা’ মানে ‘বরণ করা’ বা ‘স্বীকার করা’। অর্থাৎ ‘প্রবারণা’ মানে হলো নিজের ভুল বা ত্রুটি স্বীকার করে তা সংশোধনের জন্য প্রতিজ্ঞা গ্রহণ।

ধর্মীয় তাৎপর্য:এই দিনে ভিক্ষুরা একে অপরের কাছে নিজেদের ত্রুটি বা ভুলের কথা স্বীকার করেন এবং পরস্পরের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এটি আত্মশুদ্ধি, বিনয় ও সাম্যবোধের প্রতীক।প্রবারণা পূর্ণিমা মানুষকে আত্মসংযম, সহনশীলতা, সত্যবাদিতা ও পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ শেখায়। এটি আত্মসমালোচনা ও পরিশুদ্ধ জীবনের আহ্বান জানায়।

প্রবারণার পূর্ণিমার দিন আকাশ প্রদীপ প্রজ্বালন ( ফানুস বাতি ওড়ানো) হয়ে থাকে। কথিত আছে, সিদ্ধার্থ গৌতম গৃহত্যাগ করে অনোমা নদীর পরপারে উপনীত হয়ে সারথী ছন্নকে অশ্ব কন্থক ও শরীরের আভরণাদি প্রদান করে বিদায় দেন। অতঃপর তিনি ভাবলেন, ‘আমার মস্তকে সুবিন্যস্ত কেশকলাপ প্রব্রজিতের পক্ষে শোভনীয় নহে।’ তিনি দক্ষিণ হস্তে অসি এবং বাম হস্তে রাজমুকুটসহ কেশকলাপ ধারণ করে কেটে ঊর্ধ্বদিকে নিক্ষেপ করে সত্যক্রিয়া করেছিলেন, ‘যদি সত্যিই আমি ইহজন্মে মহাজ্ঞান (বুদ্ধত্ব) লাভে সমর্থ হই তাহলে এই মুকুটসহ কেশরাশি ঊর্ধ্বাকাশে উত্থিত হবে।’ তাঁর কেশরাশি আকাশে উত্থিত হলো। তাবতিংশ স্বর্গের দেবগণ কেশরাশি নিয়ে গিয়ে চুলমনি চৈত্য প্রতিষ্ঠা করে পূজা করতে লাগলেন। বৌদ্ধরা বুদ্ধের সেই কেশরাশির প্রতি পূজা ও সম্মান প্রদর্শনের জন্য আশ্বিনী পূর্ণিমায় আকাশ প্রদীপ বা ফানুস বাতি আমরা উড়িয়ে থাকি।আকাশ প্রদীপ যেহেতু বুদ্ধের সেই কেশরাশির প্রতি পূজা ও সম্মান প্রদর্শনের জন্য উড়িয়ে থাকি তাই আমাদের উচিত ধর্মীয় নিয়ম নীতির মাধ্যমে আকাশ প্রদীপ উত্তোলন করা।



শনিবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৫

বোয়ালখালীতে বর্ষাবাস-প্রবারণা-ফানুস উৎসব উদ্বোধন

বোয়ালখালীতে বর্ষাবাস-প্রবারণা-ফানুস উৎসব উদ্বোধন


বোয়ালখালীতে উৎসব মুখর ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বর্ষাবাস-প্রবারণা ও ফানুস উৎসব উদ্বোধন করা হয়েছে। আগামী ৬ অক্টোবর বৌদ্ধদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা উপলক্ষে বোয়ালখালী সম্মিলিত বর্ষাবাস-প্রবারণা ও ফানুস উৎসব উদযাপন পরিবারের আয়োজনে এ অনুষ্ঠান ৩ অক্টোবর উদযাপন পরিবারের আহবায়ক ও বোয়ালখালী সম্মিলিত বৌদ্ধ পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাবু পল্টু কান্তি বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন-বোয়ালখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক জনাব কানিজ ফাতেমা। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন(স্বাধীনতা)য় বোয়ালখালী সম্মিলিত বৌদ্ধ পরিষদের প্রধান প্রতিষ্ঠা উদ্যোক্তা ও সন্মিলিত বর্ষাবাস-প্রবারণা ফানুস উৎসব উদযাপন পরিবারের প্রধান সমন্বয়কারী সাংবাদিক অধীর বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সভায় মহান অতিথি ছিলেন- গোমদন্ডী সার্বজনীন জ্ঞানোদয় বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত মুদিতানন্দ থেরো, বৌদ্ধ জ্যোতি আন্তর্জাতিক সংস্থার বাংলাদেশ চাপ্টারের সভাপতি অধ্যাপক প্রকৌশলী মৃণাল কান্তি বড়ুয়া, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাষ্টি রুবেল বড়ুয়া, দানশীল ব্যক্তি সাধক ডালিম বড়ুয়া, বোয়ালখালী উপজেলা দমকল বাহিনীর ষ্টেশন অফিসার অলক চাকমা, বোয়ালখালী সম্মিলিত বৌদ্ধ পরিষদের সাবেক সভাপতি লায়ন দুলাল কান্তি বড়ুয়া, কধুরখীল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ বড়ুয়া, বোয়ালখালী সম্মিলিত বৌদ্ধ পরিষদের সিনিয়র সহ সভাপতি সমীরন বড়ুয়া টিটু, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মিহির বরণ বড়ুয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ বোয়ালখালীর সভাপতি সুমন বড়ুয়া ভুপেল, বিশিষ্ট সংগঠক ব্যাংকার লিটন কুমার বড়ুয়া। 

এসভায় সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন- কাতালগঞ্জ নব পন্ডিত বিহারের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডঃ উপানন্দ মহাথের( পিএইচডি ডিগ্রী লাভে), শ্রীপুর আদি শাক্যমুনি বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত পরমানন্দ মহাস্থবির(স্বধর্ম প্রচার ও প্রসারে), কধুরখীল মারজিন বিহারের অধ্যক্ষ দীপানন্দ থেরো( মানবিক বৌদ্ধ ভিক্ষু), শাকপুরা সার্বজনীন তপোধন বিহারের অধ্যক্ষ এম প্রজ্ঞামিত্র থেরো( মাস্টার্সে কৃতিত্ব),মো: ইসমাইল( নবনির্বাচিত সাধারন সম্পাদক- চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতি), শিক্ষক মো: ফারুক ইসলাম( গুণি শিক্ষক-বিশ্ব শিক্ষক দিবস'২৫), ডা: ঝুন্টু বড়ুয়া(মানবিক মানুষ- জনপ্রিয় ইত্যাদি অনুষ্ঠান), বাবু অসীম কুমার বড়ুয়া( স্বধর্ম ও সমাজ-সংগঠক,আনোয়ারা), বাবু অদীপ বড়ুয়া( সমাজ ও স্বধর্ম সেবক- চন্দনাইশ), বাবু শ্যামল বিশ্বাস( সভাপতি- বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটি, বোয়ালখালী), মো: হাসান চৌধুরী(সফল জনপ্রতিনিধি), বাবু বাবুল জলদাশ( জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ঢোল বাদক), বাবু চানক্য বড়ুয়া( বুদ্ধ কীর্তন শিল্পী), শিক্ষক বিধূভূষন বড়ুয়া(শিক্ষায়),বাবু দুলাল বড়ুয়া( প্রতিষ্ঠাতা-গোমদন্ডী বড়ুয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়), বাবু নীতিপূর্ণ বড়ুয়া( সমাজ-স্বধর্ম), বাবু বোধিসত্ব বড়ুয়া(সমাজ-স্বধর্ম),

বাবু দিপংকর বড়ুয়া( সমাজ-স্বধর্ম), শিক্ষক মৃদুল কান্তি বড়ুয়া( সমাজ-সংগঠন),শিক্ষক পিযুষ কান্তি বড়ুয়া(শিক্ষায়), বাবু সুভাস চন্দ্র বড়ুয়া( সমাজ-স্বধর্ম), বাবু রাস বিহারী বড়ুয়া(সমাজ-স্বধর্মে),বাবু মৃদুল বড়ুয়া(প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক-বোয়ালখালী সম্মিলিত বৌদ্ধ পরিষদ), বাবু প্রাণতোষ বড়ুয়া( সাধারন সম্পাদক- বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ, বোয়ালখালী শাখা), বাবু প্রণব বড়ুয়া পারিজাত( সমাজ-স্বধর্ম), বাবু ঝুন্টু বড়ুয়া(সমাজ-স্বধর্ম), 

বাবু স্বদেশ বড়ুয়া(সমাজ ও সংগঠন),

বাবু জেষু বড়ুয়া চৌধুরী( অর্থ সম্পাদক -বোয়ালখালী সন্মিলিত বৌদ্ধ পরিষদ), বাবু বিকাশ বড়ুয়া, 

) নবনির্বাচিত সভাপতি- বাংলাদেশ বৌদ্ধ ঐক্য ফাউন্ডেশন বোয়ালখালী), বাবু রূপাল বড়ুয়া(নবনির্বাচিত সভাপতি- বাংলাদেশ বৌদ্ধ ঐক্য ফাউন্ডেশন বোয়ালখালী), প্রধান শিক্ষক তরুন বড়ুয়া(শিক্ষায়), শিক্ষক উজ্বল মুৎসুদ্দি( শিক্ষায়), বাবু ছোটন বড়ুয়া(সমাজ ও সংগঠনে), বাবু দেবপ্রিয় বড়ুয়া( সমাজ ও সংগঠক),

বাবু কাজল বড়ুয়া( নবনির্বাচিত সাধারন সম্পাদক- বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ, বোয়ালখালী),

বাবু রূপক বড়ুয়া(সমাজ ও সংগঠন)। 

এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সাংবাদিক আবুল ফজল বাবুল, কীর্তনশিল্পী তাপস বড়ুয়া, কমরেড কাজল বড়ুয়া, এডভোকেট আঁখি বড়ুয়া, শিপিং কর্মকর্তা অমর বড়ুয়া, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব প্রিতম বড়ুয়া, সংগঠক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রনি চৌধুরী, সমাজরানী কুমারীকা বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রাজু আচার্য, ডাঃ প্রভাস চক্রবর্তী, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটি বোয়ালখালী শাখার সাধারণ সম্পাদক অধীর দে, কণ্ঠশিল্পী প্রকৌশলী রাজীব বড়ুয়া, সমাজ সংগঠক মাইকেল বড়ুয়া, সমাজ ও সংগঠক বিশ্বদ্বীপ বড়ুয়া, সমাজকর্মী বকুল বড়ুয়া, বাবু সৌরভ বড়ুয়া, বোয়ালখালী সম্মিলিত বৌদ্ধ পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাহুল বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শ্যামা প্রসাদ দাশ, ডা: সৌরভ বড়ুয়া মামুন প্রমুখ।

এসভা শেষে ফানুস উৎসব উদ্বোধন উপলক্ষে কেক কেটে উপজেলা চত্বরে কয়েকটি ফানুস উত্তোলন করেন প্রধান অতিথি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক কানিজ ফাতেমাসহ উপস্থিত অতিথিবৃন্দ। 

সন্ধ্যা ৭ টায় উপজেলা চত্বরে এ ফানুস উত্তোলন করার সময় বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী সমাজ ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ শত শত নারী-পুরুষ ও শিশু উপস্থিত ছিলেন।

শুক্রবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৫

চট্টগ্রামে সম্মিলিত প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক কার্ড ও উপহার বিতরণ সম্পন্ন

চট্টগ্রামে সম্মিলিত প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক কার্ড ও উপহার বিতরণ সম্পন্ন

 


চট্টগ্রাম: বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব সম্মিলিত প্রবারণা পূর্ণিমা ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে ৭১টি বৌদ্ধ ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মাঝে স্বেচ্ছাসেবক কার্ড ও উপহার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২ অক্টোবর চট্টগ্রামের প্রেস ক্লাবে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি'র আহবায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি'র সদস্য সচিব মো: নাজিমুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি'র যুগ্ম আহবায়ক (দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত) শওকত আজম খাজা এবং চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য মোহাম্মদ জাফর।

অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ঐক্য ফ্রন্ট এর সাধারণ সম্পাদক রুবেল বড়ুয়া হৃদয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রীতম বড়ুয়ার ডালিম।


সম্মিলিত প্রবারণা পূর্ণিমা উৎযাপন কমিটি ২০২৫ইং

আগামী বছরের প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপনের জন্য নিম্নোক্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে:

সভাপতি: শিক্ষা অফিসার (অবঃ) রিটন কুমার বড়ুয়া

সাধারণ সম্পাদক: রোটারিয়ান অমরেশ বড়ুয়া চৌধুরী

প্রধান সমন্বয়কারী: ট্রাষ্টি রুবেল বড়ুয়া হৃদয়

অর্থ সম্পাদক: সুমন বড়ুয়া বাপ্পী

স্বেচ্ছাসেবক প্রধান: প্রকৌশলী রনি বড়ুয়া চৌধুরী

মহিলা স্বেচ্ছাসেবিকা প্রধান: মিস চৈতী বড়ুয়া

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন:

 * সহ সভাপতিবৃন্দ: ড. সৌমেন বড়ুয়া, মি. শুভাশিস বড়ুয়া শিন্টু, রোটারিয়ান শিমুল কান্তি বড়ুয়া।

 * সহ সম্পাদকবৃন্দ: মি. সন্তু বড়ুয়া, সাংবাদিক রাজু চৌধুরী।

 * সমন্বয়কারী: মি. প্রীতম বড়ুয়া ডালিম।

 * সহ সমন্বয়কারীবৃন্দ: মি. তাপস বড়ুয়া, মি. কমল জ্যোতি বড়ুয়া, মি. দেবাশীষ বড়ুয়া নিরু, মি. সজল বড়ুয়া, মি. সুমন বড়ুয়া, প্রকৌশলী চয়ন বড়ুয়া, মি. জুয়েল বড়ুয়া, মি. সুজন কান্তি বড়ুয়া, মি. শোভন বড়ুয়া।

 * সহ অর্থ সম্পাদক: মি. সৌরভ চৌধুরী।

 * স্বেচ্ছাসেবক উপ-প্রধান: মি. পিয়াল বড়ুয়া রোহান।

 * স্বেচ্ছাসেবক উপ-সহকারী প্রধান বৃন্দ: উদাস বড়ুয়া দোলন, প্রকৌশলী জয়তু বড়ুয়া, অনুপম বড়ুয়া, পিয়াস বড়ুয়া জয়, মি. রুপেশ বড়ুয়া, প্রকৌশলী বিজয় বড়ুয়া, মি. জুয়েল বড়ুয়া।

 * কার্য নির্বাহী সদস্যবৃন্দ: প্রকৌশলী সীমান্ত বড়ুয়া, রোটারিয়ান সজীব বড়ুয়া ডায়মন্ড, মি. অনুকর বড়ুয়া, মি. দিবাকর বড়ুয়া জিংকি, মি. পুলক বড়ুয়া, মি. কল্লোল বড়ুয়া, লায়ন ছোটন বড়ুয়া, মি. সুষেণ বড়ুয়া ছোটন, মি. বনরূপ বড়ুয়া অমি, মি. রূপক বড়ুয়া, মি. সুস্ময় বড়ুয়া, মি. জয় বড়ুয়া, মি. উৎসব বড়ুয়া।

স্বেচ্ছাসেবক বৃন্দ (সংগঠন ও টিম প্রধান):

 * ত্রিরত্ন সংঘ - পুলক বড়ুয়া

 * সীবলী সংসদ - উদাস বড়ুয়া দোলন

 * কন্হক বুড্ডিস্ট ইউনিটি - চন্দন বড়ুয়া

 * সম্যক - রুপস বড়ুয়া রাজু

 * বৌদ্ধ ছায়াঙ্গন - শুভ বড়ুয়া

 * বাংলাদেশ কলেজ ইউনিভার্সিটি - জয় বড়ুয়া

 * বাংলাদেশ বৌদ্ধ মানবিক ব্লাড ব্যাংক - সনজয় বড়ুয়া

 * মঙ্গল সংঘ - পার্থ বড়ুয়া

 * ধর্মচক্র - বিজয় বড়ুয়া

 * আর্য সংঘ - রুদ্র বড়ুয়া

 * নন্দন - উৎসব বড়ুয়া

 * স্বপ্ন সিড়ি যুব সংঘ - সুতিম বড়ুয়া

 * আবির্ভাব - পৃথ্বীরাজ বড়ুয়া

 * অগ্রদূত বৌদ্ধ সংগঠন - সুজয় বড়ুয়া

 * বুদ্ধজ্যোতি সংঘ - হিমেল বড়ুয়া

 * নবদূত - হিমেল বড়ুয়া

 * সম্বুদ্ধ ঐক্য পরিষদ - রকি বড়ুয়া

 * অলৌকিক সংঘ - শুভ বড়ুয়া শিপন

 * আরণ্যক - পূর্ণ বড়ুয়া

 * বুড্ডিস্ট ইউনিটি - রিন্টু বড়ুয়া

 * মহাবোধি মৈত্রীসংঘ - রবিন চৌধুরী রাজদ্বীপ

 * বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট কাউন্সিল

 * প্রজ্ঞাসারথী সংঘ - প্রীতিশ বড়ুয়া

 * সীবলী মানবিক ফাউন্ডেশন - রুপক বড়ুয়া

 * মানব কল্যাণ ধম্মকথা - অন্তু বড়ুয়া

 * অংকুর - অন্তু বড়ুয়া অরুপ

 * ছন্দক - শরন বড়ুয়া

 * সারনাথ - ময়ুখ বড়ুয়া

 * মৈত্রী মানবিক সংগঠন - সোহাগ বড়ুয়া

 * আর্যমিএ বৌদ্ধ সংগঠন - ঈশান বড়ুয়া


সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

আজ ২৯ সেপ্টেম্বর রামু ট্রাজেডির ১৩ বছর

আজ ২৯ সেপ্টেম্বর রামু ট্রাজেডির ১৩ বছর

 


কক্সবাজারের রামু ট্রাজেডির ১৩ বছর পূর্ণ হয়েছে আজ। ফেসবুকে গুজবের জেরে ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে রামুর বৌদ্ধ বিহার ও বসতিতে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগে ১৯টি মামলা হয়। তবে এখনো সাক্ষীর অভাবে গতিহীন হয়ে পড়েছে ১৮টি মামলার বিচার কাজ। 

জানা গেছে, ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর উত্তম বড়ুয়া নামের এক বৌদ্ধ যুবকের ফেসবুকে পবিত্র কোরআন অবমাননার একটি ছবি ট্যাগকে কেন্দ্র করে রামুতে সংঘটিত হয় ভয়াবহ ঘটনা। পরে রাতের অন্ধকারে রামুতে ১২টি বৌদ্ধ বিহার, ৩০টি বসতঘরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে দুস্কৃতিকারীরা। ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে একইভাবে উখিয়া ও টেকনাফে আরও ৭টি বৌদ্ধ বিহার ও ১১টি বসতঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা।

রামু, উখিয়া ও টেকনাফে সহিংসতার ঘটনায় ১৯টি মামলা হয়। এতে এজাহারভুক্ত ৩৭৫ জনসহ ১৫ হাজার ১৮২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। পরে আপোসের ভিত্তিতে একটি মামলা প্রত্যাহার হলেও বাকি ১৮ মামলা সাক্ষীর অভাবে নিষ্পত্তি হয়নি এখনো। মামলার সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিতে না চাওয়ায় মামলা নিষ্পত্তিতে দেরি হচ্ছে বলে জানান কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।

বুদ্ধিস্ট সোশ্যাল মুভমেন্ট এর সংগঠক এডভোকেট সিপ্ত বড়ুয়া জানান, শুধুমাত্র রামু'র বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজন সাক্ষ্য দিচ্ছেনা এই অজুহাতে হামলার ঘটনা হওয়া মামলাগুলো স্থবির হয়ে আছে। অথচ, রাষ্ট্র চাইলে সে সময়কার হামলার ঘটনায় ছবি-ভিডিও যাচাই করে সাক্ষ্য হিসেবে মান্য করে বিচার করা যায়। বিচারহীনতার মধ্য দিয়ে জাতিগত জনগোষ্ঠী নিধনের যে সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো করে যাচ্ছে তারা আবারো হামলা করার পরিকল্পনার চাল চালবে তাতে কোন সন্দেহ নাই।

কক্সবাজার বৌদ্ধ সুরক্ষা পরিষদের সভাপতি, রামু কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহারের ভিক্ষু প্রজ্ঞানন্দ মহাথেরো বলেন, রামুর ধর্মীয় সম্প্রীতিতে যারা আঘাত হেনেছিল তারা সফল হয়নি। যে ক্ষতের তৈরি হয়েছিলো, ১২ বছরে আমরা সবাই মিলে তা অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছি। তবে দুঃখের বিষয় হলো হামলার একযুগ পার হলেও ওই ঘটনার হামলাকারীদের পরিচয় এখনো অজানাই রয়ে গেছে।

রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

রামুতে বৌদ্ধ ভিক্ষুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

রামুতে বৌদ্ধ ভিক্ষুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

কক্সবাজারের রামুতে একটি বৌদ্ধ বিহার থেকে এক ভিক্ষুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের শ্রীকুল পুরাতন রাখাইন বৌদ্ধ বিহার থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।নিহত ভিক্ষুর নাম থুই নু মং মারমা, বৌদ্ধ নাম কিমা চারা (২২)। তিনি রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার দাপুয়া গ্রামের মং শিপ্রু মারমার ছেলে।রামু থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ ফরিদ বলেন, স্থানীয়রা সকালে বিহারের ভেতরে ভিক্ষুর ঝুলন্ত মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। স্থানীয়দের তথ্য অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- ওই ভিক্ষু আত্মহত্যা করেছেন।মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে তদন্ত চলছে জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফ্রিজিং করে রাখা হবে। নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে

মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ঢাকার মহাখালীতে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে ট্রেনে কাটা পড়ে কক্সবাজারের উষা বড়ুয়া নিহত

ঢাকার মহাখালীতে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে ট্রেনে কাটা পড়ে কক্সবাজারের উষা বড়ুয়া নিহত

 


রাজধানীর মহাখালীতে রেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে উষা বড়ুয়া নামে এক নারী নিহত হয়েছে। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর ) সকালে ঊষা বড়ুয়া ঢাকা মহাখালীতে নিজ কর্মস্থলে যাওয়ায় সময় এই ঘটনা হয়।

ঢাকার দুর্ঘটনাস্থলের প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্বজনেরা জানান, সকালে উষা কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। কানে হেডফোন লাগিয়ে রেললাইন পার হওয়ার সময় অসচেতনতার কারণে তিনি ট্রেনে কাটা পড়েন।

নিহত উষা বড়ুয়া কক্সবাজারের রামু কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহার সংলগ্ন পশ্চিম মেরংলোয়ার রতন বড়ুয়ার মেয়ে বলে জানা যায়।উষা ঢাকায় আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য গবেষণা সংস্থা আইসিডিডিআর,বিতে ফিল্ড রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এক বছর আগে তিনি সেখানে যোগ দেন। এর আগে তিনি উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরি করতেন।

বান্দরবানের ঘুমধুমে সৎ ভাইয়ের ছু’রি’কা’ঘা’তে ছোট ভাই সোহেল বড়ুয়া খু’ন

বান্দরবানের ঘুমধুমে সৎ ভাইয়ের ছু’রি’কা’ঘা’তে ছোট ভাই সোহেল বড়ুয়া খু’ন

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ১নং উত্তর ঘুমধুম ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বড়ুয়া পাড়ায় পারিবারিক বিরোধের জেরে বড় ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে ছোট ভাই নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম সুকল বড়ুয়া (২৫)। অভিযুক্ত বড় ভাইয়ের নাম সুপন বড়ুয়া (৩২) বলে জানা গেছে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে সুপন বড়ুয়া নিজ বাড়িতে এসে তার মায়ের সঙ্গে মারধরের চেষ্টা করলে ছোট ভাই সুকল বড়ুয়া বাধা দেন। এসময় দুই ভাইয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি শুরু হয়। পরে এলাকাবাসী মীমাংসার চেষ্টা করলেও এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে সুপন বড়ুয়া ছুরিকাঘাত করে সুকল বড়ুয়াকে গুরুতর আহত করেন। দ্রুত তাকে কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি পুলিশ পাড়ি ফাঁড়ির ইনচার্জ জাফরুল্লাহ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত সুপন বড়ুয়াকে আটক করেন।পলিশ জানায়, রাত ৮টা ৫৫ মিনিটের দিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।