সর্বশেষ

শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫

বিহারের রাজ্যপাল আরিফ মোহাম্মদ খানের অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি

বিহারের রাজ্যপাল আরিফ মোহাম্মদ খানের অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি

বুদ্ধ পূর্ণিমা আর বিহার রাজ্যের গভর্নর আরিফ মোহাম্মদ খান বোধগয়া মন্দিরে অনুষ্ঠানের সময় তথাগত বুদ্ধকে স্মরণ করেননি, বরং অন্যান্য দেব-দেবীর ধ্যান করেছেন, যা বৌদ্ধ ভিক্ষু এবং বৌদ্ধ উপাসকদের মনে গভীরভাবে আঘাত করেছে। এর তীব্র নিন্দা করা হয়েছিল। উপরোক্ত মতামত প্রকাশ করেছেন পাঞ্জাব বৌদ্ধ সোসাইটি পাঞ্জাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট হরভজন সাম্পলা। অ্যাডভোকেট সাম্পলা বলেন, রাজ্যপাল হলেন দেশের ধর্মনিরপেক্ষ নেতা। কিন্তু তাদের এই আচরণ নিন্দনীয়। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মধ্যে এ নিয়ে প্রচুর ক্ষোভ রয়েছে। তিনি আরও বলেন যে, এই কালো কাজের জন্য তিনি রাজ্যপালের পদত্যাগ দাবি করেছেন। 


বুদ্ধ পূর্ণিমার শুভ উপলক্ষগুলি আর তথাগত বুদ্ধকে উপেক্ষা করা একটি ইচ্ছাকৃত ষড়যন্ত্র। বোধগয়া মুক্তি আন্দোলনের প্রতিবাদ সাইট বুদ্ধ পূর্ণিমায় এবং শ্রী লামা জির আবেদন আর ৩ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়েছিল। ভিক্ষু সংঘ, ভিক্ষু প্রজ্ঞা বোধি, ডঃ হরবনস বির্দি (পাঞ্জাব) এবং অল ইন্ডিয়া বৌদ্ধ সমাজের সাধারণ সম্পাদক আকাশ লামা এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন যে রাজ্যপালের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত, কারণ তিনি তথাগত বুদ্ধকে সম্মান করেননি, বরং তাঁর মূর্তির দিকে পিঠ দিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তারা অন্যান্য দেব-দেবীর পূজা অব্যাহত রেখেছিল। বৌদ্ধ সম্প্রদায় ৫ জুন দিল্লির যন্তর মন্তর এবং রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করবে এবং তার পদত্যাগ দাবি করবে।




মঙ্গলবার, ১ আগস্ট, ২০২৩

শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমার তাৎপর্য

শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমার তাৎপর্য

 

শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমার তাৎপর্য


প্রতিসন্ধি গ্রহণ

বারাণসীর প্রায় পঞ্চাশ ক্রোশ উত্তরে নেপাল প্রদেশে রোহনী নদীর তীরে অবস্থিত কপিলাবস্তু নগরী। সেখানে রাজত্ব করতেন শাক্য বংশীয় রাজারা।মূলত শাক্য বংশীয়রা ইক্ষাকু বংশের বংশধর। ইক্ষাকুবংশীয় অম্ব নামে এক রাজার চারপুত্র ও চার রাজকন্যা রাজ্য থেকে নির্বাসিত হয়ে কপিলাবস্তুতে বাস করতেন।

রাজপুত্র ও রাজকন্যারা পরবর্তীতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁরা স্বামী-স্ত্রী রূপে জীবনযাপন করতেন।

একসময় তাঁদের বংশবিস্তার হলো। তাঁদের বংশধরেরাই পরবর্তী সময়ের শাক্যবংশ, তাই কপিলাবস্তুর শাক্যেরা ইক্ষাকুবংশীয় বলে পরিচয় দেন।

শাক্য বংশের পূর্বসূরী রাজা জয়সেনের ছিল এক পুত্র সিংহহনু এবং এক কন্যা যশোধরা। সিংহহনুর চার পুত্র ও দুই কন্যা ছিল। শুদ্ধোদন, অমৃতোদন, ধৌতধন, শুক্লোদন। দুই কন্যা যথাক্রমে অমিতা ও প্রমিতা। রোহনী নদীর অপর পরবর্তী দেবদেহ নামে স্থানে রাজা অনুশাক্যের কন্যা ইন্দ্রাণীর মতো রূপবর্তী মহামায়ার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ধার্মিক ও পুণ্যবান রাজা শুদ্ধোদন। দীর্ঘ সাংসারিক জীবনে কোন সন্তান জন্মগ্রহণ না করায় রাজপ্রসাদের সুখ আর আনন্দ তাঁদের স্পর্শ করতে পারত না। সন্তানের মুখে মা ডাক শুনার জন্য মায়ের ব্যাকুলতা আর বংশের হাল ধরে রাখার জন্য পিতার উৎকণ্ঠা সর্বদা রাজপ্রসাদে ঘুরে বেড়াত। কিন্তু উপায় কি। কর্মের বিধান পাল্টায় কে ! রাজা রাজশক্তি প্রয়োগ করে রাজ্যশাসন কিংবা রাজ্যদখল করতে পারেন। কিন্তু পিতার আসন লাভ করা তার চেয়েও দুষ্কর হয়ে পড়েছিল। রাজা-রানীর মনে হতাশার অন্ত ছিল না।

এদিকে পৃথিবীতে অনাচার ছড়িয়ে পড়ল। দানবের প্রচণ্ড থাবায় মানবতা যেন বেহুঁশ হয়ে পড়ে আছে। কে জাগাবে তাকে। বিপন্ন মানবতা। মানবপুত্র গৌতম বুদ্ধ তখন ৫৭ কোটি ৬০ লক্ষ বৎসর ব্যাপী তুষিত স্বর্গে বাস করছিলেন। মানবতার এই নাজুক অবস্থা দেখে দেবকুল শংকিত হয়ে পড়লেন। ত্রিশ প্রকার পারমী পরিপূর্ণ জগতের ভাবী সম্যক সম্বুদ্ধের নিকট দেবগণের আকুল প্রার্থনা ‘হে দেবাতিদেব, পৃথিবী আজ অনাচারে পরিপূর্ণ, চারদিকে ত্রাহি ত্রাহি রব, মানুষ আজ পথভ্রষ্ট, দিন দিন মার শাসন আর মারের উৎপাত প্রকট হয়ে উঠছে, দানবের শ্বাসরুদ্ধকর ঘরে মানবতা আজ অবরুদ্ধ, বিপন্ন মানবতা আর মুমূর্ষ ধরা বাঁচাতে ত্রিলোকের কল্যাণে আপনি মর্ত্যলোকে জন্মগ্রহণ করুন। ’ ভাবীবুদ্ধ তাদের প্রার্থনা স্বীকার করলেন। কথা দিলেন, ‘আমি কপিলাবস্তুর ধার্মিক রাজা শুদ্ধোধনের ঔরষে এবং পূণ্যবতী রানী মহামায়ার গর্ভে জন্মধারণ করে ত্রিলোককে মুক্তির আলোয় উদ্ভাসিত করব। ’ সময় হতাশাগ্রস্ত রাজ-রানীকে আরো ব্যাকুল করে তুলল। কিন্তু না, এবার রানী মহামায়ার এক বিচিত্র স্বপ্ন দর্শন সমস্ত হতাশাকে বিদূরিত করে কপিলাবস্তুর কিছুক্ষণের জন্য হারিয়ে গেলেন স্বপ্নপুরীতে। চারদিকপাল দেবতা পালঙ্কসহ তাঁকে তুলে নিয়ে গেলেন অনবতপ্ত হ্রদের তীরে। দেবতারা তাঁকে সপ্তযোজন উচুঁ সমতল ভূমির উপরে এক মহাশাল বৃক্ষের নিচে রেখে শ্রদ্ধাবনত মস্তকে একপাশে দাঁড়িয়ে রইলেন। দেবপত্নীরা এসে রানীকে উক্ত হ্রদে ম্লান করিয়ে স্বর্গীয় ভূষণে অলংকৃত করলেন। চারদিক পাল দেবতারা রানীকে সুবর্ণময় প্রাসাদের দিব্যশয্যায় শয়ন করালেন। তারপর এক দিব্যকান্তি মহাপুরুষ শ্বেতহস্তীর রূপ ধারণ করে স্বর্ণময় পর্বত থেকে শুড়ে একটি শ্বেতপদ্ম নিয়ে অবতরণ করলেন। স্বেতহস্তীটি রানীর শয্যা তিনবার প্রদক্ষিণ করে তাঁর দক্ষিণপার্শ্ব ভেদ করে মাতৃজঠরে প্রবেশ করলেন। রাতের সেই অভিনব স্বপ্ন দর্শনের কথা তিনি মহারাজ শুদ্ধোধনকে জানালেন। রাজা রানীর শ্রীমুখ দিয়ে স্বপ্ন কথা শুনে অবাক হয়ে গেলেন। রাজা এই সকল অলৌকিক স্বপ্নের কারণ জানতে চৌষট্টিজন বিখ্যাত জ্যোতিষীকে ডেকে আনলেন। জ্যোতিষীরা ভবিষ্যদ্বাণী করে বললেন, ‘রানী সন্তানসম্ভবা। আপনার রাজপুরী আলোকিত করে পুত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করবে। এ ভাবী শিশু সংসারি হলে রাজচক্রবর্তী রাজা হবেন। আর সংসার ত্যাগ করলে সম্যক সম্বুদ্ধ হবেন। ’ তুষিত স্বর্গ থেকে চ্যুত হয়ে বোধিসত্ত্ব এভাবে আষাঢ়ী পূর্ণিমা তিথিকে রাণী মহামায়ার গর্ভে প্রতিসন্ধি গ্রহণ করেন।

গৃহত্যাগ

সিদ্ধার্থ ছোট বেলা থেকেই চিন্তাশীল ছিলেন। সুযোগ পেলেই ধ্যান-মগ্ন হয়ে যেতেন। অফুরন্ত ভোগ সম্পদের আতিশয্যে তার জন্ম হলেও তিনি ক্রমশ সংসারের প্রতি বিতৃষ্ণ হয়ে উঠলেন। সংসারের প্রতি সিদ্ধার্থের বিতৃষ্ণাভাব এবং উদাসীনতা দেখে পিতা রাজা শুদ্ধোধন চিন্তিত হয়ে পড়লেন। রাজার একান্ত অভিপ্রায় রাজপুত্র সিদ্ধার্থ রাজচক্রবর্তী রাজা হউক। চার দ্বীপমালা বেষ্টিত জম্বুদ্বীপের একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করুক। অনেকটা তোড়জোড় করে ঊনিশ বছর বয়সে রাজকুমার সিদ্ধার্থকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করা হলো কোলীয়রাজ দণ্ডপাণির রূপসী কন্যা, পতিব্রতা, নারী ধর্মের মর্যাদার মূর্তি যশোধারার সাথে। পূর্ণ হলো রাজা শুদ্ধোধনের মনের কামনা। কিন্তু না ! জন্ম যার বিশ্বকল্যাণে তিনি সংসার বাঁধনে বাধা থাকবেন কি করে! মোহ! সে তো ভোগীদের বাঁধন। ত্যাগীর সামনে দাঁড়াবে কি করে! ছোটবেলা থেকেই যিনি জীব ও জগৎ নিয়ে চিন্তামগ্ন তিনি রাজপ্রাসাদের নরম বিছানায় পড়ে থাকবেন কি করে! একদিন তিনি নগর ভ্রমণে যাওয়ার কথা বললেন পিতাশ্রীকে। কথাটি শুনে রাজার মনে হলো যেন ঘাঁয়ের উপর বিষফোঁড়া। রাজপ্রাসাদের ভোগ বিলাসের আতিশয্যে থেকেও যে জীবনের দুঃখমুক্তির কথা ভাবে সে কি না যাবে নগর ভ্রমণে! কিন্তু উপায় কি। সব তো পারমী আর দৈবলীলা। ঠেকায় কে? রাজার মহাজ্যোতিষীদের ভবিষ্যদ্বাণীর কথা মনে আরেক বার নাড়া দিয়ে গেল। রাজা হ্যাঁ বলতে বাধ্য হলেন। কিন্তু চেষ্টা তো চালিয়ে যেতে হবে। রাজা অমাত্যদের কড়া নির্দেশ দিলেন কোনো জরাগ্রস্থ, ব্যাধিগ্রস্থ, মৃতব্যক্তি ও সংসারত্যাগী সন্ন্যাসী যাতে রাজকুমারের চোখ না পড়ে। অমাত্যরা তাদের ঠেকালেন। কিন্তু দেবরাজকে কে সামলাবে? সিদ্ধার্থ সারথি ছন্দককে নিয়ে রথে করে প্রথম বার গেলেন পূর্ব দিকে। কিছুদূর যেতে না যেতেই চোখে পড়ল এক জীর্ণশীর্ণ জরাগ্রস্থ ব্যক্তি। সিদ্ধার্থ চমকে উঠলেন। আরে সারথি থাম! থাম! সিদ্ধার্থের আত্মবিচলিত জিজ্ঞাসা-কোটরে পড়ে যাওযা দুটি চোখ, শরীর থেকে দুলে পড়েছে খসখসে চামড়া, কংকালের মতো অবয়ব, লাঠিতে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ইনি কে? বেচারা সারথি ছন্দক নিরুপায়। না বলে যে উপায় নেই। ‘প্রভু, তিনি আমার আপনার মতো রক্তমাংসের গড়া একজন মানুষ। তার রূপ, যৌবন, শক্তি সামর্থ্য সবই ছিল। কিন্তু কালের স্রোত তাকে আজ এখানে ভাসিয়ে নিয়ে এসেছে। ’ সে এমনটি হতে চায় নি। সময় এবং জাগতিক বিধান তাকে এরকম করেছে। তার মা, বাবা, স্ত্রী, পুত্র, ঘর সংসার সবই আছে। রাখ! রাখ! সারথি আর নয় অনেক হয়েছে। আগে বল আমিও তার মতো হব কিনা। সারথির সহজ সরল প্রতি উত্তর- হ্যাঁ প্রভু, এটাই সংসারের ধর্ম। সেদিন আর নগর ভ্রমণ হলো না। মনে অনেক প্রশ্ন অনেক কষ্ট নিয়ে ফিরে গেলেন রাজমহলে। দ্বিতীয় বার বের হলেন দক্ষিণ দিকে। কিছু দূর যাওয়ার পরে সামনে পড়ে গেল এক ব্যাধিগ্রস্থ ব্যক্তি। একেবারে ক্ষীণপ্রাণ। যেকোনো মুহূর্তে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে পারে। তার সর্বাঙ্গে মৃত্যুর ছাপ ভর করছে। না পারছে বাঁচতে না পারছে মরতে। তাকে দেখে সিদ্ধার্থ আরো বেশি বিচলিত হয়ে পড়েলন। সারথি ছন্দক বুঝিয়ে দিলেন তাকে জীবনের করুণ দুর্দশার কথা। সেদিন আর নগর ভ্রমণ হলো না, ভারাক্রান্ত মনে ফিরে গেলেন রাজপ্রাসাদে। তৃতীয়বার বের হলেন পশ্চিম দিকে। হঠাৎ চোখে পড়ল এক করুণ দৃশ্য। চারজন লোক কাঁধে বহন করে নিয়ে যাচ্ছেন এক ব্যক্তিকে। ব্যক্তিটির কোনো সাড়া শব্দ নেই। তার পেছনে কাঁদতে কাঁদতে ছুটে চলেছেন কিছু নারী-পুরুষ। তাদের বুকফাটা বিলাপে বেজে উঠছে প্রিয়হারার কান্নার সুর। সারথি বুঝালেন জীবনের শেষ পরিণতির কথা। যাকে বলে মৃত্যু। সিদ্ধার্থের ব্যাকুল প্রশ্ন মৃত্যু কি? সারথি বুঝানের চেষ্ঠা করলেন, জন্ম-মৃত্যু ঈশ্বরের ইচ্ছাতেই হয়। ঈশ্বর কে? জীব ও জগতের সৃষ্টিকর্তা। অর্থাৎ জীবের সুখ-দুঃখের কারক। তিনি মেনে নিতে পারলেন না সারথির যুক্তিকে। রাজপ্রাসাদে ফিরে গেলেন, চিন্তায় বিভোর হয়ে গেলেন, খেতে, বসতে, চলতে, শুতে সর্বক্ষণ নগর ভ্রমণের ভয়ানক করুণ স্মৃতিগুলো তার চোখের পর্দায় ভেসে উঠে। তাকে বিচলিত করে তোলে।

চতুর্থ বার বের হলেন উত্তর দিকে। অনেক দূর গেলেন। কিছুই পড়ছে না সামনে। সারথির মনে কত দুশ্চিন্তা। এবার সামনে কি পড়ে কি জানি। সৌম্য শান্ত গৈরিক বসনধারী ভিক্ষাপাত্র হাতে অধঃদৃষ্টিতে ধীরমন্থর গতিতে এগিয়ে আসছেন কুমার সিদ্ধার্থের রথের দিকে এক সন্ন্যাসী। আহা! কি প্রশান্তি! তাঁর চোখে মুখে নেই কোনো কষ্টের ছাপ। তাঁকে দর্শনে মনে প্রশান্তি জেগে উঠল। ‘সারথি, ইনি কে ? সিদ্ধার্থের ভাবগম্ভীর প্রশ্ন। তিনি সংসারত্যাগী এক সন্ন্যাসী। ’ তাঁর উদ্দেশ্য কি? সংসারের যাবতীয দুঃখমুক্তির উপায় অন্নেষণে তিনি সন্ন্যাসী সেজেছেন। সারথির এই কথাগুলো সিদ্ধার্তের খুবই মনপুত হলো। নগর ভ্রমণের ইচ্ছা আর বেশিদিন স্থায়ী হল না। অনেকটা কৌতুহলী মনে রাজপ্রাসাদে ফিরে গেলেন। শান্ত সৌম্য ওই সন্ন্যাসী সিদ্ধার্থের মনের ভাবনায় জোয়ার এনে দিলেন। রাজমহলের নরম বিছানা, ভোগ-বিলাস, আমোদ-প্রমোদ কিছুই সিদ্ধার্থকে রমিত করতে পারছে না। ওই দিকে রাজকুমারের নগর ভ্রমণের প্রতিদিনের খবর রাজা রাখতেন। সব ঘটনা রাজাকে রীতিমত ভাবিত করে তুললেন। কুমার সিদ্ধার্থ পিতাকে সংসার ত্যাগের ইচ্ছা নিবেদন করলেন। যেন আকাশ ভেঙে মাথায় পড়ল। রাজা অনেকটা নির্বাক হয়ে পড়ল। রাজা সংসারের সুখ এর বর্ণনাচ্ছলে পুত্রকে সংসারে বেঁধে রাখতে চাইলেন। কেউ কাউকে ছাড়ছেন না। অবশেষে পুত্র পিতার কাছে বর চেয়ে বসলেন। ‘পিতাশ্রী, জরা, ব্যাধি, মুত্যু যেন আমাকে স্পর্শ না করে। আমার এই রূপ যৌবন যেন চির অটুট থাকে। আমি যেন চির অমর হতে পারি। ’ পিতার নিরাশ উত্তর- ‘বৎস, আমি কেন পৃথিবীর কোনো পিতাই তার সন্তানকে এই বর দিতে পারে না। তুমি আমার রাজ্য, রাজত্ব চাও আমি তোমাকে এখনই দিয়ে দেব। ’ ‘না পিতাশ্রী, আমার এসব কিছুর প্রয়োজন নেই। আমি চাই দুঃখমুক্তি। ’ রাজা সর্বদা নাচে-গানে, আমোদ-প্রমোদে পুত্রকে মাতিয়ে রাখতে ব্যর্থ চেষ্ট করতেন।

একরাতে কুমার সিদ্ধার্থ ঘুমে মগ্ন হয়ে আছেন। পরিচারিকারাও নৃত্যগীতের পরে পরিশ্রান্ত শরীরে ঘুমিয়ে পড়ল। গভীর রাতে কুমার জেগে উঠলেন। কোথাও পিনপতন শব্দ নেই। রাতের নীরবতা সবাইকে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছে। নিদ্রামগ্ন নর্তকীদের পরিহিত এলোমেলো বস্ত্র, বীভৎস চেহারা এবং দেহের বিকৃত রূপ মুহূর্তের মধ্যে কুমারের হৃদয়কে সংসারের প্রতি আরও বীতস্পৃহ করে তুলল। সুরম্য রাজপ্রাসাদ তার কাছে মহাশ্মশান মনে হলো। সে রাতেই তিনি সংসার ত্যাগ করার দৃঢ় সংকল্প নিলেন। সেদিনই ছিল শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা তিথি। দেবরাজ ইন্দ্র সিদ্ধার্থের সংসার ত্যাগ আসন্ন এবং গভীর রাতেই গৃহত্যাগ করবেন বুঝতে পেরে বিশ্বকর্মাকে প্রেরণ করলেন। ছদ্মবেশী দেবপুত্র সিদ্ধার্থকে অপূর্ব রাজপোশাক ও রাজমুকুটে সুসজ্জিত করলেন। সিদ্ধার্থ এই দিব্য অলৌকিক শক্তিকে অনুমান করতে পারলেন। পরম হিতৈষী পিতা রাজা শুদ্ধোধন, মমতাময়ী মাতৃদেবী মহাপ্রজাপতি গৌতমী, প্রিয়তমা স্ত্রী যশোধরা, প্রাণপ্রতিম পুত্র রাহুল, রাজৈশ্বর্য এবং প্রিয় প্রজাদের ভালোবাসার বাঁধন ছিন্ন করে ঊনত্রিশ বছর বয়সে মুক্তিকামী সিদ্ধার্থ সত্যের সন্ধানে গৃহত্যাগ করলেন।

ধর্মচত্র প্রবর্তন

গৃহত্যাগের পর রাজ নন্দন সিদ্ধার্থ সাধনায় নিমগ্ন হলেন। শুরু হলো দুঃখ মুক্তির অদম্য প্রচেষ্ঠা। ছয় বছর কঠোর সাধনা বলে অবশেষে তিনি অবর্তীণ হলেন কঠিন যাত্রায়। খুঁজে পেলেন মুক্তির পথের ঠিকানা। মানুষ কেন জন্ম-মৃত্যুর কবলে পড়ে, কে কোথায় যায়, কোথা হতে আসে, ইত্যাদি রহস্যময়তার সমাধান পেলেন। বুদ্ধত্ব লাভের পর প্রথমে তিনি চিন্তা করেছিলেন যে তিনি ধর্ম প্রচার করবেন না। কারণ সাধারণ তৃষ্ণাতুর মানুষেরা এই তৃষ্ণাক্ষয়ী নৈর্বাণিক ধর্ম বুঝবে না। কিন্তু দেব-ব্রক্ষার অনুরোধে স্বর্গ-মর্ত্য সবার কল্যাণে ধর্ম প্রচার করার চিন্তা মনে স্থান দিলেন। অবশেষে বুদ্ধ সারনাথে সর্বপ্রথম ধর্মচক্র প্রবর্ত্তন করলেন। এর প্রাচীন নাম ঋষিপতন মৃগদায়। ঋষিগণ গন্ধমাধব পর্বত থেকে আকাশ পথে এসে সেখানে অবতরণ করতেন। ঋষিদের পতন স্থান বলে সারনাথের অপর নাম ছিল ঋষিপতন। হত্যা করার জন্য আনীত মৃগদের সেখানে ছেড়ে দিয়েছিলেন বলে ইহার আরেক নাম মৃগদায় অর্থাৎ মৃগবন। প্রত্নতত্ত্ব সম্পর্কীয় বিষয়ের জন্য সারনাথ সুপ্রসিদ্ধ। অশোক স্তূপের পূর্ব পাশে যে মন্দিরের চিহ্ন বিরাজমান সেটাই ধর্মচক্র প্রবর্ত্তন স্থান। প্রত্যেক সম্যক সম্বুদ্ধের এই স্থানই প্রথম ধর্ম প্রচার স্থান। এই স্থান অপরিবর্তনীয়। প্রথম ধর্মদেশনায় ১৮ কোটি দেব-ব্রহ্মা জ্ঞান লাভ করেছিলেন। মানুষের মধ্যে একজন মাত্র জ্ঞান লাভ করতে সক্ষম হয়েছিলেন যার নাম কৌন্ডিন্য। সেদিন ছিল শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা। শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা দিনে বুদ্ধের জীবনে আরেকটি অলোকিক ঘটনা ঘটেছিল। সেই নান্দনিক ঘটনাটি হলো শ্রাবস্তীর গণ্ডাম্ব্র বৃক্ষমূলে বুদ্ধের ঋদ্ধি প্রদর্শন ও স্বর্গারোহন।

শ্রাবস্তীতে ঋদ্ধি প্রদর্শন

বুদ্ধের সময় আরো ছয়জন শাস্তা ছিলেন। তাঁদের অধিকাংশে ছিলেন নগ্ন সন্ন্যাসী। এক এক জনের মতবাদ ছিল এক এক রকম। নিজেদের দৃষ্টিতে যা ভালো মনে হয়েছে তা ভক্তদের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন। মূলত তাঁরা কেউ সাধক কিংবা সত্য সন্ধ্যানী ছিলেন না। তাঁরা ছিলেন তীর্থিক। তাঁদের একজন সঞ্জযো বেলটুঠপুত্তো নামক শাস্তা অতি ধুরন্ধর প্রকৃতির ছিলেন। তার বাদ ছিল অমরা বিক্ষেপ। কিছুতেই ধরা দিতেন না। প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলে বলতেন, ‘আমি এইরূপও বলি না, সেইরূপও বলি না। অন্যথাও আমি বলি না, না বলিয়াও আমি বলি না। ’ এমন উত্তর দিয়ে বাক্য বিক্ষেপ বা অমরা বিক্ষেপ করতেন। এমন কৌশল গ্রহণ করার কারণ ছিল মিথ্যা ধরা পড়ার ভয়, যেহেতু কিছুই তিনি সঠিকভাবে জানতেন না। সেই সময়ের মহারাজ অজাতশত্রু তার উত্তর শুনে বলেছিলেন, ছয় শাস্তার মধ্যে এ ব্যক্তি সবচেয়ে অজ্ঞানী। গৌতম বুদ্ধের কারণে তাদের লাভ সৎকারে ভাটা পড়ছিল। তাই তারা বুদ্ধের বিরুদ্ধে বলতেন। বিভিন্ন মিথ্যা অপপ্রচার এবং রটনা রটাতেন। তারা বিভিন্ন সময়ে বুদ্ধের চরিত্রে কলংক লেপনের চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু কখনো সফল হতে পারেননি। বুদ্ধ এবং বুদ্ধের জ্ঞান এবং শক্তি সম্পর্কে তারা সম্যক অবগত ছিলেন না। তাদের শিষ্যরা বলে বেড়াতেন, বুদ্ধ তাদের চেয়ে অলৌকিক শক্তি সম্পন্ন নয়। অলৌকিক শক্তি প্রদর্শনের প্রতিযোগিতা হলে বুদ্ধ হেরে যাবেন। ইত্যাদি কথা নিয়ে বাড়াবাড়ি করতেন। বুদ্ধের শিষ্য এবং অনুসারীরা বুদ্ধকে এসব কথা বলতেন। কিন্তু সর্বজ্ঞ সর্বদর্শী বুদ্ধ এসব কথায় গুরুত্ব দিতেন না। পরে বুদ্ধ ভাবলেন এই অপপ্রচারে যদি মানুষের ভেতরে বুদ্ধের প্রতি কোনো সন্দেহ এবং অশ্রদ্ধা উৎপন্ন হয় কিংবা যারা অপপ্রচারে লিপ্ত আছেন তাদের পাপ হবে। এই সন্দেহ এবং দ্বন্দ্ব দূর করা প্রয়োজন। ভিক্ষুণী সংঘ প্রতিষ্ঠা সমাপ্ত হলে ষষ্ঠ বর্ষাযাপনের জন্যে ভগবান বুদ্ধ প্রয়াস করলেন রাজগৃহের অন্তঃপাতী মকুল পর্বতে। এই সময়ে রাজগৃহ শ্রেষ্ঠী জম্বুদ্বীপে প্রকৃত অর্হৎ আছেন কিনা পরীক্ষা করবার জন্যে একটি ৫০ হাত সুদীর্ঘ বংশদণ্ডের অগ্রভাগে একটি মহামূল্য চন্দন কাষ্ট নির্মিত পাত্র স্থাপন করে ঘোষণা করে দিলেন, ‘ঋদ্ধি বলে কেহ যদি শূন্যে উত্থিত হয়ে ওই পাত্রটি গ্রহণ করতে পারেন তবে উহা তাঁরই হবে। ’ আয়ুস্মান মহামৌদ্গল্যায়ন ও পিণ্ডোল ভরদ্বাজ রাজগৃহ নগরে ভিক্ষা চর্য্যায় বের হয়ে সন্ন্যাসীদের এই হঠকারিতা ও বিভ্রান্তি অবলোকন করেন। ভিক্ষা চর্যার পর মহামৌদ্গল্যায়ন নির্দেশক্রমে শ্রেষ্ঠী প্রদত্ত সেই চর্তুমধুর ভাণ্ডটি নেবার জন্য অভিজ্ঞাপাদক ধ্যান অনুশীলন করে বিরাট এক খণ্ড মেঘ সৃষ্টি করে, আকাশ পথে ভ্রমণ করছিলেন। জন সাধারণ স্থবিরের এই অদ্ভুত ক্রিয়াকলাপ দর্শনে বিস্মিত হল এবং জনগণ বলতে শুরু করল যে, ভদন্ত পিণ্ডোল ভারদ্বাজ, আপনি আমাদের ত্রাণ করুন। স্থবির মহোদয় তাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে আকাশের মেঘ খণ্ড অপসারিত করে বংশাগ্রে স্থিত সেই চর্তুমধুর ভাণ্ডটি আপন হাতে নিয়ে ভূমিতে নেমে আসলেন এবং বেণুবন বিহারের দিকে অগ্রসর হতে থাকলে দলে দলে লোক তাঁর পশ্চাৎ অনুগমন করল। তীর্থিকদের মধ্যে কেহই উহা গ্রহণ করতে সমর্থ হল না। আয়ুস্মান মৌদ্গল্যায়নের নির্দেশে ‘পিণ্ডোল ভারদ্বাজ’ নামক জনৈক ভিক্ষু ঋদ্ধি বলে পাত্রটি গ্রহণ করেন। ভগবান বুদ্ধ উহা জানতে পেরে ভিক্ষুদের পক্ষে কাষ্ঠনির্মিত পাত্রের ব্যবহার এবং ঋদ্ধি প্রদর্শন উভয়ই নিষিদ্ধ করে দেন। এতে তীর্থিকেরা বলে বেড়াতে লাগল যে শাক্যপুত্রীয় শ্রমণেরা ঋদ্ধি প্রদর্শন করলে আমাদের সাথে পেরে উঠবে না। তাই শাক্যপুত্র গৌতম তাঁর শিষ্যদের ঋদ্ধি প্রদর্শনে নিষেধ করেছেন। বুদ্ধ বললেন আমার শিষ্যরা ঋদ্ধি প্রদর্শনে নিষিদ্ধ হলেও প্রয়োজন বোধে আমি নিজে উহা প্রদর্শন করতে পারি।

স্থির হলো চার মাস পরে শ্রাবস্তীর গণ্ডাম্ব বৃক্ষ মূলে তিনি তাঁর ঋদ্ধি প্রদর্শনের এই প্রতিশ্রুত রক্ষা করবেন। তীর্থিকেরা এ সংবাদ পেয়ে নির্দিষ্ট স্থানের চতুর্দিকে এক যোজনের মধ্যে যত আম্রবৃক্ষ আছে সমস্ত উৎপাটিত করে ফেলল। নির্দিষ্ট দিনে যথা স্থানে উপস্থিত হয়ে ভগবান বুদ্ধও জনসংঘ দেখলেন। আশেপাশে আম্র বৃক্ষের চিহ্নও বিদ্যমান নেই। রাজ্যেদ্যানের মালী গ- কোথা থেকে একটি পক্ক আম্রসংগ্রহ করে এনে ভগবানকে উপহার দিলেন। তিনি তাকে উহা মাটিতে পুতিতে আদেশ দিলেন। অতঃপর ভগবান ব্দ্ধু উহার উপরে হাত ধুয়ে জল দেওয়া মাত্র ইহা ৫০ হস্ত দীর্ঘ এক মহীরুহে পরিণত হয়। তখন ভগবান বুদ্ধ ঋদ্ধি বলে শূণ্যের উপর এক মণিময় বিহার ভূমি রচনা করে। তদুপরি উঠে ‘যমক প্রতিহার্য প্রদর্শন করেন। প্রথমে ভগবান বুদ্ধ শূণ্যে উত্থিত হন তাঁর উর্দ্ধাঙ্গ থেকে অগ্নিশিখা উত্থিত হয় ও নিম্নাঙ্গ থেকে বারিধারা বর্ষিত হতে থাকে। অতঃপর উর্দ্ধাঙ্গ থেকে বারিধারা ও নিম্নাঙ্গ থেকে অনলশিখা প্রবর্তিত হতে থাকে। তারপর পর্যায়ক্রমে ডানপার্শ্ব থেকে অগ্নি ও বাম পার্শ্ব থেকে জল, ডান পার্শ্ব থেকে জল বাম পার্শ্ব থেকে অগ্নি প্রবর্তিত হতে থাকে। এভাবে ক্রমান্বয়ে বাইশ প্রকার ঋদ্ধি প্রদর্শন সমাপ্ত হলে তিনি জনগণকে এমন ভাবে মোহাবিষ্ট করলেন যে তাদের মনে হল তিনি উক্ত মণিময় বিহার ভূমিতে দাঁড়িয়ে, বসে, শুয়ে থেকে বিভিন্ন প্রকারের দৃষ্টি বিভ্রান্তি ঘটালেন। বিভিন্ন ধরণের হৃদয়ছোঁয়া ঘটনাবলির কারণে আষাঢ়ী পূর্ণিমা একটি অনন্য পূর্ণিমা তিথির নাম। বৌদ্ধদের জন্য আষাঢ়ী পূর্ণিমা পূণ্যের সুবাসী বারতা নিয়ে হাজির হয়। আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা পর্যন্ত এই তিনমাস ভিক্ষুসংঘের পাশাপাশি বৌদ্ধ উপাসক-উপাসিকারাও বর্ষাবাস পালন করে থাকেন। এই সময়ে তারা প্রতি উপোসথ দিবসে অষ্টশীল গ্রহণ, দানকর্ম, ভাবনাকার্য সহ ইত্যাদি পূণ্যকর্মের মাধ্যমে বর্ষাবাস পালন করে থাকেন। এই সময়ে পূজনীয় ভিক্ষুসংঘরা তথ্য বহুল অনেক গুরুত্বপূর্ণ ধর্মদেশনা উপাসক উপাসিকাদের দান করেন। পাপকর্ম থেকে বিরত থাকার জন্য সাধারণ গৃহিরা সাধ্যমত চেষ্ঠা করেন। প্রাণী হত্যা থেকে বিরত থাকেন। এমনকি এই তিন মাসের মধ্যে সামাজিক অনুষ্ঠান বিয়ের অনুষ্ঠানও হয় না। ভিক্ষুসংঘরাও বর্ষাবাস চলাকালীন সময়ে কেউ বিহারের বাইরে থাকতে পারেন না। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণে থাকার নিয়ম থাকলেও এক সপ্তাহের মধ্যে ফিরে আসতে হয়।




রবিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২২

অগ্রদূত বৌদ্ধ সংগঠনের ৬ষ্ট বর্ষপূর্তি এবং ৭ম বর্ষে পদার্পণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন

অগ্রদূত বৌদ্ধ সংগঠনের ৬ষ্ট বর্ষপূর্তি এবং ৭ম বর্ষে পদার্পণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন



গত ২৫ নভেম্বর ২০২২ ইং তারিখ রোজ শুক্রবার "অগ্রগতির অর্ধযুগে অগ্রদূত"-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অগ্রদূত বৌদ্ধ সংগঠনের অগ্রগামী তরুণ সদস্যরা তাদের প্রিয় সংগঠনের ৬ষ্ঠ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিভিন্ন ধর্মীয় ও সেবামূলক কার্যক্রমের আয়োজন করে। ।



উদযাপন পরিষদের সদস্য সচীব শ্রীমাণ সুষ্ময় বড়ুয়া-এর সঞ্চালনায় এবং পরিচালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানের সর্বপ্রথম সংগঠনের সকল সদস্য সকাল ৮ঘটিকায় নন্দনকানন বৌদ্ধ বিহার, চট্টগ্রাম-এ মিলিত হয়। এরপর সকালবেলার বুদ্ধ পূজা দানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বর্ষপূর্তির নানা আয়োজন। বুদ্ধ পূজা শেষে বাসযোগে সদস্যরা সকলে চট্টগ্রামস্থ জোবরা গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা করে। নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যবেষ্টিত জোবরা গ্রামের একটি অনাথ আশ্রমে অবস্থানরত সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের সাথে ছিল সারাদিন জুড়ে বর্ষপূর্তির নানা আয়োজন। জোবরা গ্রামের অন্তর্গত সুগত বিহারে বুদ্ধ পূজা ও বুদ্ধ বন্দনাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় কার্যক্রম দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভসূচনা করা হয়। পরবর্তীতে অনাথ আশ্রমের শিশু-কিশোরদের নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি শ্রীমাণ প্রত্যয় বড়ুয়া নিলয়। এতে উদ্বোধনী সংগীত, জাতীয় সংগীতসহ আরো অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসমূহ অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় পর্বে শ্রীমাণ উৎস বড়ুয়ার পরিচালনায় শিক্ষার্থীদের বিনোদন এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলজ খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতা শেষে সকল শিশু-কিশোরদের সাথে নিয়ে সংগঠনের সদস্যদের মধ্যাহ্নভোজ সম্পন্ন হয়। 



তৃতীয় পর্বে ঠিক বিকেল ৩টায় বৈকালিক বুদ্ধ বন্দনা, পঞ্চশীল গ্রহণ, অষ্টপরিষ্কার দান, পানীয় এবং অন্যান্য দানসামগ্রী দান, সূত্রপাঠ এবং ধর্মোপদেশ শ্রবণ করেন উপস্থিত সকল শিশু-কিশোর, সংগঠনের সদস্যসহ গ্রাম থেকে আগত পূণ্যার্থী তথা দায়ক-দায়িকাগণ। 

এতে ধর্মীয় বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক ধর্মোপদেশ প্রদান করেন জোবরা সুগত বিহারের উপাধ্যক্ষ ভদন্ত নিরোধানন্দ ভিক্ষু মহোদয়। এছাড়াও সংগঠনের সম্মানিত উপদেষ্টা শ্রীমাণ সুজয় বড়ুয়া সংগঠনের ইতিপূর্বের বিভিন্ন কার্যক্রমসমূহ উপস্থাপনসহ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সংগঠনের শ্রীবৃদ্ধি কামনা করে বক্তব্য প্রদান করেন। উক্ত ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আশীর্বাদক হিসেবে অংশ নেন জোবরা সুগত বিহারের অধ্যক্ষ কর্মযোগী ভদন্ত শীলরক্ষিত মহাথের মহোদয়। শ্রদ্ধেয় ভান্তের শারীরিক অবস্থা দেখে সংগঠনের উপদেষ্টা শ্রীমাণ সুজয় বড়ুয়া এবং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি শ্রীমাণ প্রত্যয় বড়ুয়া নিলয় অগ্রদূত বৌদ্ধ সংগঠনের সকল সদস্যদের পক্ষ হতে ভান্তের চিকিৎসার জন্য শ্রদ্ধাদান প্রদান এবং ভান্তের সুস্থজীবন প্রার্থনা করেন। ধর্মীয় অনুষ্ঠান শেষে শ্রদ্ধেয় ভান্তের হাত দিয়ে বর্ষপূর্তির কেক কর্তন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়। এছাড়াও, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ এবং বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার প্রদান করা হয়। শিক্ষা উপকরণসমূহ হাতে পেয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মুখ হাসি ও আনন্দে ভরে ওঠে। সর্বশেষ পর্বে, সংগঠনের সকল সদস্যগণ জোবরা গ্রাম হতে নন্দনকানন বৌদ্ধ বিহারের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। নন্দনকানন বৌদ্ধ বিহারে পঞ্চশীল গ্রহণসহ ফানুস উত্তোলন করা হয়।সংগঠনের একনিষ্ঠ ও দায়িত্বশীল সদস্যা শ্রীমতী প্রজ্ঞা বড়ুয়া-এর তত্ত্বাবধানে ৬ষ্ঠ বর্ষপূর্তি-কে কেন্দ্র করে হাজার প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে জগতের সকল প্রাণির সুখ কামনা করে দিনের কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য, বর্ষপূর্তি উদযাপনকে কেন্দ্র করে ১২ সদস্য বিশিষ্ট উদযাপন পরিষদ গঠন করা হয়। আহ্বায়ক শ্রীমাণ অনিন্দ্য বড়ুয়া এর আহ্বানে সংগঠনের প্রিয়মুখ শ্রীমাণ সুস্ময় বড়ুয়া-কে প্রধান অর্থাৎ সদস্য সচীব করে উদযাপন পরিষদটি গঠিত হয়। এতে আরো ছিলেনঃ অর্থসচীব-শ্রীমাণ প্রত্যয় চৌধুরী রিদ্দি, প্রধান সমন্বয়কারী-শ্রীমাণ উৎস বড়ুয়া, সমন্বয়কারী-শ্রীমতি প্রজ্ঞা বড়ুয়াসহ সংগঠনের অন্যান্য ৭জন সদস্য-সদস্যা

বুধবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২২

রাঙামাটিতে নির্মিত হলো ১২৬ ফুট সিংহশয্যা বুদ্ধমূর্তি

রাঙামাটিতে নির্মিত হলো ১২৬ ফুট সিংহশয্যা বুদ্ধমূর্তি

 

আজ ১৬ নভেম্বর রাঙামাটির দুর্গম জুরাছড়ি উপজেলাতে উদ্ভোধন হলো বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সিংহশয্যা ১২৬ ফুট বুদ্ধমূর্তি।

রাঙামাটি রাজ বন বিহারের প্রধান ও পরিনির্বানপ্রাপ্ত মহাসাধক সাধনানন্দ মহাস্থবির (বনভান্তে) এর স্মৃতির উদ্দেশ্য ২০১২ সালের দিকে রাঙামাটির প্রত্যান্ত জুরাছড়ি উপজেলার সুবলং শাখা বন বিহারে ১২৬ ফুট সিংহ শষ্যা বুদ্ধ মূর্তিটি তৈরীর উদ্যোগ নেন উপজেলার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী সাধারন মানুষ ও ভিক্ষুরা। ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বুদ্ধমূর্তিটি নির্মাণ শুরু হয়ে ২০২১ সালের শেষ দিকে নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়। দেশের সর্ববৃহৎ ১২৬ ফুট দীর্ঘতম ’সিংহশয্যা বুদ্ধ মূর্তির স্থপতি ছিলেন বিশ্বজিৎ বড়ুয়া, প্রকৌশলী প্রতিপদ দেওয়ান ও দয়াল চন্দ্র চাকমা। প্রকৌশলী ছিলেন তৃপ্তি শংকর চাকমা ও অঙ্কনের দায়িত্বে ছিলেন বিমলানন্দ স্থবির। এটি কোন সরকারী অর্থ সহায়তা ছাড়াই স্থানীয় মানুষের দানে অর্থ উত্তোলন করা প্রাায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে এই বুদ্ধমূর্তিটি নির্মাণ করা হয়েছে। বিহারের মোট সাড়ে ১২ একর জায়গার মধ্যে প্রায় এক একর জায়গার উপর নির্মাণ করা হয় দেশের সর্ববৃহৎ এই সিংহ শয়্যা বুদ্ধ মূর্তিটি। এতে গৌতম বুদ্ধের বিশালাকার সিংহ শয্যা বুদ্ধ মূর্তিতে চোখ ধাধাঁনো নানান কারুকার্য করা হয়েছে।

শনিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২২

জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড-২০২২ পেলেন  জয় বড়ুয়া লাভলুর রোবোলাইফ টেকনোলজিস

জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড-২০২২ পেলেন জয় বড়ুয়া লাভলুর রোবোলাইফ টেকনোলজিস

তারুণ্যের সর্ববৃহৎ প্লাটফর্ম ইয়াং বাংলার জনপ্রিয় আয়োজন জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের ষষ্ঠ আসরের বিজয়ীদের নাম ঘোষিত হয়েছে। শনিবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে বিজয়ীদের হাতে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড-২০২২ তুলে দেন সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের চেয়ারপারসন সজীব ওয়াজেদ জয়।

নতুন উদ্ভাবনী ভাবনা নিয়ে দেশ গঠনে এগিয়ে আসা ৬০০টির বেশি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন থেকে যাচাই বাছাই শেষে ১০ প্রতিষ্ঠানের হাতে উঠেছে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’।এ বছর পাঁচটি ক্যাটাগরির প্রতিটিতে দুটি করে ১০টি প্রতিষ্ঠানকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

উদ্ভাবনী ক্যাটাগরিতে কৃত্রিম হাত তৈরি ও প্রতিস্থাপনের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন রোবোলাইফ টেকনোলজিস। জয় বড়ুয়া লাবলু রোবোলাইফ টেকনোলজিসের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও।২০১৮ সালে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষদের সহযোগিতায় এ সংগঠন যাত্রা শুরু করে। শুরুতেই তারা দুর্ঘটনা বা যেকোনও কারণে হাত হারানো ব্যক্তিদের কৃত্রিম হাত প্রতিস্থাপন করা শুরু করে। এভাবে অন্তত ২০ জনকে সহযোগিতা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে তারা ৩০ হাজার টাকায় কৃত্রিম হাত প্রতিস্থাপন করছে ও এর খরচ কমিয়ে আনতে চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে সৌদি আরব ও তুরস্কে বেশ কিছু কৃত্রিম হাত রফতানিও করেছে এই প্রতিষ্ঠান।রোবোলাইফ টেকনোলজিসের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জয় বড়ুয়া লাবলু বলেন, এ পুরস্কার আমাদের আরও সামনে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা জোগাবে। বাংলাদেশে যে হাত-পা বিহীন মানুষ আছে, তাদের জন্য এই রোবোটিক অঙ্গ দৈনন্দিন কাজ সম্পন্ন করতে সহায়তা করে। ভবিষ্যতে আরও কাজ করতে এই পুরস্কার আমাদের উৎসাহ দেবে।

বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

রাউজান হোয়ারাপাড়া বৌদ্ধ অনাথ আশ্রমের আদিবাসী শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

রাউজান হোয়ারাপাড়া বৌদ্ধ অনাথ আশ্রমের আদিবাসী শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

 


রাউজানের পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের হোয়ারাপাড়া বৌদ্ধ অনাথালয়ে এনুছাই মারমা (১৫) নামের নবম শ্রেণির এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে।  

২১ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টায় এনুছাই এর লাশ পুলিশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। পূর্বগুজরা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ বাবুল আজাদ জানিয়েছে অনাথালয়ের আবসিক ভবনের ৪র্থ তলার ছাদে পরিত্যাক্ত একটি কক্ষের পাখার রডের সাথে ওড়না গলায় পেঁছিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে।

আত্মহননকারী ছাত্রী খাগড়াছড়ি জেলার গ্যাংদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩নম্বর ওয়ার্ডের পশিম তাইতং পাড়ার হুলাচুইসিং মারমার মেয়ে ও অগ্রসার অনাথালয় উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। ওই পুলিশ কর্মকর্তা তার ধারণা মঙ্গলবার রাতের কোনো এক সময় সে আত্মহত্যা করেছে। অনাথ আশ্রমের পরিচালক সুমিতানন্দ থের বলেছেন ওই ছাত্রী আগে রাঙ্গামাটির একটি আশ্রমে ছিলেন, কয়েক মাস আগে সে এই আশ্রমে এসে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে অন্যান্যদের সাথে অনাথ আশ্রমে থাকছে। তার এক বোনও হোয়ারাপাড়া ডিগ্রী কলেজে আবাসায়িক ব্যস্থায় থেকে পড়া লেখা করছে। এই পরিচালক জানায়, তিনি ঘটনার ৭ দিন আগের থেকে ছুটিতে ছিলেন। বুধবার এসে এই ঘটনা শুনেছেন আশ্রমের থানা ছাত্রীদের কাছ থেকে। ঘটনা শুনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানিয়ে পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখা যায় এনুছাই মারমা হলের চারতলার ছাদের দেয়ালের কয়েক জায়গায় এক যুবকের নামের সাথে যোগ চিহ্ন দিয়ে তার নাম লিখেছে। এই লেখার তার তারিখ লিখেছে ২০.০৯.২২। স্থানীয়দের ধারণা প্রেম ঘটিত কারণে কোনো আঘাত পেয়ে হয়ত ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করতে পারে।বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সহকারি পুলিশ সুপার (রাউজান-রাঙ্গুনিয়া সার্কেল) আনোয়ার হোসেন শামীম, পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্বাস উদ্দিন, পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহাবুদ্দিন আরিফ। পুলিশ সুপার বলেছেন ময়নাতদন্তের পর ঘটনা জানা যাবে।

নিউজঃরাউজাননিউজ থেকে নেওয়া


রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২

প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল হতে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের অনুকূলে ২ কোটি টাকা বিশেষ অনুদানের চেক প্রদান

প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল হতে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের অনুকূলে ২ কোটি টাকা বিশেষ অনুদানের চেক প্রদান

 

আসন্ন প্রবারণা পূর্ণিমা ও কঠিন চীবর দান ২০২২ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল হতে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের অনুকূলে ২ (দুই) কোটি টাকা বিশেষ অনুদান বরাদ্দ করা হয়। অদ্য ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২খ্রি:, রবিবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ২ (দুই) কোটি টাকার অনুদানের চেক প্রদান করেন। বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষে উক্ত অনুদানের চেক গ্রহণ করেন ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান-২ বেগম আরমা দত্ত এমপি। এ সময় ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান মি: সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়া ও ট্রাস্ট সচিব মি. জয়দত্ত বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন ।  

নিউজঃফেইসবুক হতে  সংগ্রহ